ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় দুটি বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তালা ঝুলানো দেখতে পেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ। এ ঘটনায় দুই বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ নম্বর গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান ইউএনও।
কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, দুটি বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, কর্মচারী ও কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। দুটি বিদ্যালয়ের সব শ্রেণিকক্ষ তালাবদ্ধ ছিল। যা সরকারি বিধি ভঙ্গের সামিল। এ ঘটনায় দুই স্কুলের সব শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং ১৮ নভেম্বরের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ইচ্ছেমতো স্কুলে আসা-যাওয়া করেন। এছাড়া, দুপুরের পরে কিছু স্কুলে ক্লাস না করিয়ে ছুটি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান ইউএনও।
জানা যায়, গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী মাসে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা বেতন উত্তোলন করেন এবং ওই স্কুলে শিক্ষার্থী রয়েছে ২০৯ জন।
এ বিষয়ে গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবিএম রিয়াদুল আলম বলেন, ওই দিন (১৩ নভেম্বর) স্কুলের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তাই একটানা ক্লাস করিয়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়। যথাযথভাবে শোকজের জবাব দেওয়া হয়েছে।
৪৫ নম্বর গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মুহাম্মদ ইশা বলেন, সেদিন শিক্ষক কম ছিল, তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। এছাড়া, বিদ্যালয়ে নারিকেল গাছ রোপণের জন্য কিছুটা আগে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। শোকজের জবাব দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ বলেন, দুই বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। তারা যথাযথভাবে জবাব না দিতে পারলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।