নাটোরে স্কুলের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের দায়ে হযরত আলী (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভিকটিমকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ দণ্ডাদেশ দেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হযরত আলী সদর উপজেলার বাগরুম গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ৪২ বছর। তিনি ব্র্যাক পরিচালিত বাগরুম শিশু নিকেতনের এক শিক্ষিকার স্বামী।
নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) আব্দুল কাদের জানান, নির্যাতিত ওই শিশু ব্র্যাক পরিচালিত সদর উপজেলার বাগরুম শিশু নিকেতনে ৫ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করত।
স্ত্রী শিক্ষিকা হওয়ার সুযোগে হযরত আলী ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন। ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে ওই ছাত্রী হযরত আলীর কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিলেও ওই ছাত্রীকে প্রশ্নপত্র দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান হযরত আলী। নিজ কক্ষে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। একইসঙ্গে বলে ঘটনা কাউকে বললে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবেন, এমনকি প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও ভয়ভীতি দেখান। ওই ছাত্রী ঘটনা কাউকে না বললেও চার দিন পর ১২ জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বাবা-মা জিজ্ঞাসা করলে ঘটনাটি খুলে বলে। শিশুটির বাবা বাদী হয়ে হযরত আলীকে অভিযুক্ত করে ১৩ জুলাই নাটোর সদর থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।
সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দেন।