পাবনায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে মৎস্যজীবী দলের সাবেক নেতা জালাল উদ্দিন (৪০) নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম মামলার তথ্য জানান।
আরো পড়ুন: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনায় বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১
ওসি আব্দুস সালাম বলেন, ‘নিহত জালালের ভাই লাবু হোসেন বাদী গতকাল রোববার রাতে মামলা করেছেন। এতে ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’
প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য মুন্তাজ আলির সঙ্গে একই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম পক্ষের। গত শুক্রবার রাতে এলাকার ইসলামি জলসা নিয়ে দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়।
এরই জেরে গত শনিবার সকালে বেতেপাড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে আবুল হাসেম গ্রুপের জালালের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
নিহত জালাল উদ্দিন হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।
পাবনা সদর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আজম প্রামানিক বলেন, ‘নিহত জালাল সদর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।’