ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আহতদের মধ্যে চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিরা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানিয়েছেন বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী।
এলাকাবাসী জানান, আগামী ২০ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই পুরো উপজেলা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুপুর ১টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের মোড় থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল খালেক ও অপর নির্বাহী সদস্য রফিক শিকদার নেতৃত্বে কাউন্সিল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে অসংখ্য নেতাকর্মী অংশ নেন।
উপজেলা সদরের মুসা মার্কেট এলাকায় আসলে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশের সমর্থকরা মিছিলটিতে ইটসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলে। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ও অন্তত ৩০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
এসময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন বাদল, যুবদলের মুসা হায়দায় ও বিপ্লবসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে ঢাকা মেডিক্যালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ অলি মোহাম্মদ রাসেল জানান, আহতদের মধ্যে ২৫ জনের নাম হাসপাতালে নথিভুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালে উপস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার এই ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন। পাশাপাশি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানে কাছে বিচার চেয়েছেন।
বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী রাত ১০টায় রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘রাত ১০টা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। থানায় কোন মামলা হয়নি। এ ঘটনায় ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন।’