সারা বাংলা

জামিন পেলেও কারাগারেই থাকছেন ‘চাল রশিদ’

কুষ্টিয়ার আদালত আলোচিত আব্দুল রশিদ ওরফে চাল রশিদকে জামিন দিলেও কারামুক্ত হতে পারছে না। আগামী ২৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে তাকে জামিন আবেদন করতে হবে। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করলেই কেবল তিনি রাজশাহী জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারবেন।

কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, কুষ্টিয়া ও রাজশাহীর আদালতে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ বাংলাদেশ অটো মেজর ও হাস্কিং রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রশিদ এগ্রো: লি: গ্রুপ কোম্পানিজের স্বত্ত্বাধিকার আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিনই আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেল নাগাদ কুষ্টিয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক মো. আব্দুল কুদ্দুসের আদালত তিনটি মামলাতেই জামিন আদেশ দেন মর্মে জেল গেটে বেল বন্ড আসে। কিন্তু এ বেল বন্ড কুষ্টিয়া কারা কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছানোর পূর্বেই রাজশাহী জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের কার্যালয় হতে উল্লেখিত আসামির তলবের নোটিশ কুষ্টিয়া জেলা কারা কর্তৃপক্ষের হাতে এসে পৌছায়।

কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, নোটিশে বলা হয়েছে, আসামি আব্দুর রশিদকে যথাযথ নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে আগামী ২৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহীর সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে এ মুহুর্তে কুষ্টিয়ার আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করলেও রাজশাহীর আদালতের আদেশের বাইরে যাওয়ার আইনগত সুযোগ নেই।

আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে কয়েকজন পাওয়ানাদার ও কয়েকটি ব্যাংকের পাওনা টাকা আদায়ে শতাধিক মামলার মধ্যে তিনটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে পাওয়ার পর গত শনিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

আব্দুর রশিদের ছোট ভাই ইসমাইল হোসেন মুরাদ বলেন, ‘‘এখানে যেটা হয়েছে তার সবই ব্যবসা কেন্দ্রিক আর্থিক লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হয়েছে। এরজন্য যে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, তা আইনগতভাবেই আমরা মোকাবিলা করছি। আশা করি খুব শীঘ্রই একটা সমাধানের পথ পেয়ে যাব।’’