সারা বাংলা

সেন্টমার্টিনে পর্যটন নীতিমালা শিথিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ

কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার ও রাত্রিযাপন অনুমতির দাবিতে হাজারো নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কলাতলীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে সড়কে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটকরা। 

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ডলফিন মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন তারা। এর আগে সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু করে কলাতলী ডলফিন মোড় পর্যন্ত র‍্যালি করেন।

 

এসময় বিক্ষোভকারীরা জানান, যতক্ষণ না তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে, ততক্ষণ সড়ক অবরোধ অব্যাহত থাকবে। 

এদিকে এ ঘটনায় দীর্ঘ সময় ধরে দূরপাল্লার বাস ও স্থানীয় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটক ও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, “আমরা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। দ্বীপে শুধুমাত্র চার মাস ব্যবসায়ের জন্য আমরা আকুতি জানাচ্ছি। অথচ পরিবেশের দোহায় দিয়ে পর্যটন মৌসুমেও সেন্টমার্টিনে পর্যটক যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পর্যটকের কারণে সেন্টমার্টিনে আগেও কোনো ক্ষতি হয়নি, এখনও হচ্ছে না।”

সড়ক অবরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা সড়ক অবরোধ করিনি, শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও সমাবেশ করছি। যদি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রশাসন থেকে মেনে নেয়ার মতো আশ্বাস দেয়া হয় তবে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো।”

সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলু আজম কোরেশি বলেন, “সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণে বিধি-নিষেধে সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে এ দ্বীপের হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতির ধস নেমেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী, তরুণ উদ্যোক্তা, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী, হোটেল-রিসোর্ট মালিকসহ সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই জীবন বাঁচাতে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দিলে আমরা ফিরে যাবো।”

মানববন্ধন ও সমাবেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। তারা সেন্টমার্টিনের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও পর্যটন খাত রক্ষায় দ্রুত এই বিধি-নিষেধ শিথিলের আহ্বান জানান।