সারা বাংলা

রাঙামাটিকে ‘বিশুদ্ধ বাতাসের শহর’ ঘোষণার দাবি

হ্রদ ও পাহাড়ের দেশ চির সবুজ রাঙামাটিকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর ঘোষণার দাবি উঠেছে। রাঙামাটি শহরে একিউআই-এর মান ১৭ থেকে ২০ এর মধ্যে থাকে। যা গুড এয়ার কোয়ালিটি। ফলে রাঙামাটিকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর হিসেবে ঘোষণা করা হলে দেশ-বিদেশের লোকজন ভ্রমণের জন্য রাঙামাটিকে বেছে নিবে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) এর তথ্যানুসারে, ০ থেকে ৫০ পর্যন্ত গুড এয়ার কোয়ালিটি, ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত মডরেট এয়ার কোয়ালিটি, ১০১ থেকে ১৫০ পর্যন্ত আনহেলদি এয়ার কোয়ালিটি এবং ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত সেনসেটিভ গ্রুপ আনহেলদি কোয়ালিটি হিসেবে পরিমাপ করা হয়। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি সবার প্রথমে সামনে নিয়ে আসেন রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা। তিনি লিখেন- ‘বিশুদ্ধ বাতাসের শহর রাঙামাটি। পাহাড় আর হ্রদের মিতালি যেন বিশুদ্ধতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। AQI( Air Quality Index) এর মান অধিকাংশ সময় ৫০ এর কম থাকে যার কারণে রাঙামাটিকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর বলা হয়। আজ সকালে রাঙামাটির AQI এর মান ২০। প্রকৃত বিশুদ্ধতার অনুভূতি পেতে চাইলে রাঙামাটি ভ্রমণ করুন।’ 

এ বিষয়ে তিনি বলেন, “পাহাড় আর হ্রদের মিতালি রাঙামাটির বিশুদ্ধতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। একিউআই-এর মান অধিকাংশ সময় ৫০-এর কম থাকে। যার কারণে রাঙামাটিকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর বলা যায়। এটি ঘোষণা করা হলে মানুষ বিদেশে ঘুরতে না গিয়ে নির্মল বায়ু গ্রহণের জন্য রাঙামাটিতে ভ্রমণ করবেন।” 

এই বিষয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্লোবাল ভিলেজের নির্বাহী পরিচালক ফজলে এলাহী বলেন, সবুজ প্রকৃতির রাঙামাটির জন্য এটা খুবই একটা আশাবাদের বিষয়। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এ জন্য রাঙামাটিকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর ঘোষণা করা প্রয়োজন। এতে যেমন এই অঞ্চলে পর্যটকের আগমন বাড়বে, তেমনি মানুষও সচেতন হবে পরিবেশ রক্ষায়। 

এই বিষয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, বিষয়টি অবশ্যই চমকপ্রদ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রাঙামাটির প্রাকৃতিক পরিবেশের ধারণা নিয়ে রাঙামাটি শহরকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হবে।

একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) এর তথ্যানুসারে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাঙামাটির বায়ুর মান ১৮। যা গুড এয়ার কোয়ালিটির অন্তর্ভুক্ত।