আমদানি-রফতানি পণ্যের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ও রাজস্ব আয়ে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর ‘চট্টগ্রাম বন্দর’। গত ৩ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউএস। যা বিগত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬ টিইইউএস বেশি। একই সঙ্গে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের গত ৪ মাসে ১৬৪৩.৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়কালের রাজস্ব আয়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, পাকিস্তানের করাচি বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি নতুন রুট চালু হওয়ায় বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এতে সাশ্রয়ী ব্যয় ও সময়ে উভয় দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে নতুনভাবে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে। আমদানি পণ্যের কনটেইনার পর্যাপ্ত হলে করাচি-চট্টগ্রাম রুটে ভবিষ্যতে নিয়মিত জাহাজ পরিচালনা করতে মালিকরা আগ্রহী।
এস এম মনিরুজ্জামান আরও বলেন, করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথমবার গত ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে একটি জাহাজে ৩২৮ কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম আসে। ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম আসে। জাহাজটির সাধারণ রাউন্টিং হচ্ছে দুবাই জেবল আলী-করাচি-চট্টগ্রাম-ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-মুন্দা (ভারত)-দুবাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, শহীদুল আলম, কমডোর এম ফজলার রহমান প্রমুখ।