সারা বাংলা

বিকল্প ইঞ্জিনে লাকসাম থেকে চট্টগ্রামে মেঘনা এক্সপ্রেস

ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর চাঁদপুর থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস। তবে এতেই শেষ নয়, বিকল ইঞ্জিন কিছুটা সচল হলেও তা আরেক স্টেশনে গিয়ে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। পরে লাকসাম থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এনে আবারও দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের পথে যাত্রা করে আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস। 

তবে এরমধ্যে যাত্রীদের চরম বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগে পড়তে হয়।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোর ৫টায় চাঁদপুর স্টেশন থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস। মূল স্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার পথ চলার পর চাঁদপুর শহরের মিশন রোড এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন। এতে দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকল ইঞ্জিন চালু করে আবারও যাত্রা করে। একপর্যায়ে হাজীগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছানোর পর তা আবারও বিকল হয়ে যায়।

চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন জানান, সকাল ১০টায় লাকসাম থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এনে পরে ট্রেনটি চট্টগ্রামের পথে রওয়ানা করে।

ট্রেনের চালক মাহবুব আলম জানান, কয়েক ঘণ্টা বিলম্ব হলেও এখন নিরাপদে পৌঁছেছে চট্টগ্রাম স্টেশনে আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস। 

ট্রেনের পরিচালক লিটন জানান, প্রায় আড়াইশ যাত্রী ছিলেন এতে।

১৯৮৫ সালে চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে যাত্রা শুরু করে আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস। প্রতিদিন ভোর ৫টায় ছেড়ে ট্রেনটি চট্টগ্রামে পৌঁছে সকাল সাড়ে ৯টায়। তবে অনেক পুরনো ইঞ্জিন ও বগি দিয়ে লক্কর ঝক্কর গতিতেই চলছে আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস। এটি সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।