গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনটি প্রধান শিক্ষক ও ১১৯টি সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। ৪৫টি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ ৫৬টি কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ খালি। এমন পরিস্থিতিতে একই সঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা।
কোটালীপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক নুর আলম বলেন, “এ উপজেলায় এমপিও ভুক্ত ৪৫টি উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে পাঁচটি প্রধান শিক্ষক, পাঁচটি সহকারী প্রধান শিক্ষক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাতটি, ক্লার্ক দুটি, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ৩৭টিসহ মোট ৫৬টি পদ খালি রয়েছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোটালীপাড়া উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ে কোনো শৃঙ্খলা থাকে না। শিক্ষকরা নিজেদের ইচ্ছামত চলেন। এছাড়া, একজন সহকারী শিক্ষককে অন্য একজন শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি বিপাকে পড়েন। কারণ নিজের সাবজেক্ট পড়িয়ে অন্য সাবজেক্টের প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ানো তার জন্য কঠিন।
কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, “উপজেলায় ১৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে তিনটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ১১৯টি সহকারী শিক্ষকসহ মোট ১২২টি পদ খালি রয়েছে। শূন্য পদ পূরণের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
কোটালীপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক নুর আলম বলেন, “এ উপজেলায় এমপিও ভুক্ত ৪৫টি উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে পাঁচটি প্রধান শিক্ষক, পাঁচটি সহকারী প্রধান শিক্ষক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাতটি, ক্লার্ক দুটি, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ৩৭টিসহ মোট ৫৬টি পদ খালি রয়েছে। শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত লোকবল নিয়োগ দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে।”
কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. এনায়েত বারী বলেন, “অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষের জীবন ভিত্তিক লেখায় দেখা যায়, তারা তাদের জীবনগঠন ও পড়ালেখার শক্ত ভিত্তি গঠনে শিক্ষকদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অন্তর জ্বালিয়ে তুলতে পারেন জ্ঞানের আলোক ও জ্ঞানতৃষ্ণা। সামনের আলোকিত পথের দিক নির্দেশনাও তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পেয়ে থাকেন। তাই বিদ্যালয়ে সুযোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকের গুরুত্ব অপরিসীম।”
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর আক্তার বলেন, “অনেক শিক্ষকই গ্রামীণ স্কুলগুলো থেকে শহরে বদলির চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন। যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকার পরও গ্রামে স্থায়ী হচ্ছেন না তারা। শিক্ষক স্বল্পতায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এমন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে যেখানে বেশি শিক্ষক আছেন, সেখান থেকে ডেপুটেশন করে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কম আছেন সেখানে দেওয়া হবে।”