শীত বাড়ছে। ঝালকাঠির মার্কেটগুলোতে শীতের কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পছন্দের শীতের পোশাক কেনার জন্য ক্রেতারা ভিড় করছেন বিপণিবিতানগুলোতে।
গত দুই দিনে শীত পড়ায় মৌসুমের শুরুতেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে ক্রেতা আসতে শুরু করায় ভিড় হচ্ছে মার্কেটগুলোতে। মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে নানা রকম বাহারি গরম পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, শীতবস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় তারা ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ডিজাইনের শীতের পোশাকের গাঁইট নিয়ে আসছেন। জ্যাকেটের গাঁইটের দাম ৫৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। সোয়েটারের গাঁইটের দাম ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
কুমারপট্টি মাকের্টে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই কিনছেন শীতের পোশাক। শীতবস্ত্র কিনতে আসা করিম মুনশীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘‘বাচ্চাদের শীতের কাপড় আগে যেটা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় কেনা যেত এখন সেটা কিনতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে।’’
কুমারপট্টি মার্কেটে সব বয়সের মানুষের জন্য দেশি-বিদেশি ব্লেজার, জ্যাকেট, কোট, চাদর, কম্বলসহ সব ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। বেছে বেছে নিজেদের পছন্দমতো কাপড় কেনার জন্য শীত মৌসুমে হাজার হাজার মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এসে গরম কাপড় কিনছেন।
মার্কেটে কাপড় কিনতে আসা বাবুল তালুকদার বলেন, ‘‘শীত বাড়ছে। এখন আর শীতের পোশাক না কিনে উপায় নেই।’’
ক্রেতারা জানান, ফুটপাতের দোকানে পণ্য কেনার সময় দরকষাকষি করার সুযোগ থাকায় তাদের সুবিধা বেশি হয়। ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো শুধু পোশাক বিক্রির স্থান নয়, এটি শহরের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের শীতের প্রস্তুতির মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় শীতের পোশাক বিক্রেতা রহমান আলী বলেন, ‘‘শীতের পোষাক বিক্রি শুরু হয়েছে। সব ধরনের পোশাকের চাহিদা আছে। সামনের দিনগুলোতে আরও বিক্রি বাড়বে। শীত বেশি পড়লে আরও বেশি বিক্রি হবে।’’