সারা বাংলা

জুলাই বিপ্লবে শহীদ রিকশাচালক মান্নানের মরদেহ উত্তোলন

বগুড়ায় সরকারের পতনের জন্য ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত আব্দুল মান্নানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। 

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার এরুলিয়া বানদিঘী পূর্বপাড়া গ্রামের কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। 

গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে বগুড়া শহরের বড়গোলা ট্রাফিক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রিকশাচালক আব্দুল মান্নান। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত এই আদেশ দেন। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে সোমবার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিয়ান মুনসীফ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার কোর্ট পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, আন্দোলনে নিহত আব্দুল মান্নানের বাড়ি বগুড়া সদরের এরুলিয়া বানদীঘি পূর্বপাড়া। তিনি রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ছেলে রানা হামিদ। 

তিনি আরও জানান, ২৮ অক্টোবর বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো কবর থেকে উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়াকে নির্দেশ দেন বিচারক।