সারা বাংলা

হাওর নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান আছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেছেন, ‌‘টাঙ্গুয়ার হাও‌রে যেভাবে প‌লি‌থিন দেখলাম এসব বিষয়ে আমরা এক‌টি প‌রিকল্পনা হাতে নি‌চ্ছি। হাওরের প‌রিবেশ প্রকৃ‌তি কিভাবে ঠিক থাকবে তা নিয়ে আমরা প‌রিকল্পনা কর‌ছি।’

তিনি বলেন, ‘হাওরে যে এতো হাউজবোট চলে, এতো আওয়াজ, এতো প্লাসটিক ও পলিথিন এগুলো কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করছি। হাওর নিয়ে একটা মাস্টারপ্ল্যান আছে। হাওরকে যেনো বাঁচানো যায় ও পরিবেশবান্ধব করা যায় সেটা নিশ্চিত করবো।”

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগ‌ঞ্জের তা‌হিরপুর উপ‌জেলার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁ‌ধের জ‌রিপ কাজ প‌রিদর্শন শে‌ষে মা‌টিয়ান হাওর পা‌ড়ে সাংবা‌দিক‌দের তিনি এসব কথা বলেন। 

সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেন, “টাঙ্গুয়ার হাও‌রে পর্যটন চলবে। হাওরে পর্যটকদের জন্য সু‌নি‌র্দিষ্ট কিছু নীাতমালা থাকবে, যা তাদের মেনে চলতে হবে।”

ফসল রক্ষা বাঁ‌ধের কাজ নিয়ে তিনি বলেন, “হাওরে ফসলরক্ষা বাঁ‌ধের কা‌জে কোনো প্রকার অনিয়ম হলে আমাদের জানালে আমরা ব‌্যবস্থা নেব। ফসল রক্ষা বাঁ‌ধের কাজে অনিয়ম যাতে না হয় এবং কৃষকের ফসলের যাতে ক্ষ‌তি না হয়, আমরা সেই ব্যবস্থ নেব। ফসল রক্ষা বাঁধের বরাদ্দের নামে অহেতুক কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না যা পরিবেশের ক্ষতি করে। এক কথা, পরিবেশ রক্ষা করেই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। আমরা বাঁধ নির্মাণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ তদারকি করব।”

এসময় অন্যদের মধ্যে উপ‌স্থিত ছিলেন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পা‌নি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স‌চিব নাজমুল আহসান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মো. ইলিয়াছ মিয়া, পু‌লিশ সুপার মো. আনোয়ার হো‌সেন খান, পা‌নি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার প্রমুখ। পরে উপদেষ্টা টাঙ্গুয়ার হাওরের বাঁধসহ বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।