পদ্মা রেলসেতুর যশোর-ঢাকা রুটে যশোরের একটি রেল জংশনের নাম নিয়ে তীব্র অসন্তোষ জানিয়ে আসছেন সেখানকার মানুষ। জংশনটির নাম পদ্মবিলা জংশন। কিন্তু কেন? কে দিল এই নাম?
কয়েকদিন বাদেই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চলবে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের স্বপ্নের ট্রেন। তবে কেন এই বৈষম্য, কেন পদ্মবিলা জংশন নাম করা হলো। ট্রেন চলাচল শুরুর আগেই জংশনটির নাম পরিবর্তন চায় রাধানগর বাঘারপাড়ার মানুষ।
পদ্মবিলা গ্রাম যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যে। রাধানগর গ্রাম বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নে। এই গ্রামে জংশন করা হয়েছে। কিন্তু জংশনটির নাম নেওয়া হয়েছে পদ্মবিলা।
নামটি বদলে রাধানগর বা বাঘারপাড়া করার দাবি নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জংশনে মানববন্ধন করেছেন এলাকার মানুষ। বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাদের দাবি, ট্রেন চলাচল শুরুর আগেই যেন জংশনের নাম বদলে ফেলা হয়। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক আশরাফ আলী, শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, মাওলানা তবিবুর রহমান, শিক্ষক আহসানুল বান্না সুমন, শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বুলবুল, আব্দুল মজিদ, আসাদুজ্জামান বাবলু, শহীদ শিকদার, আব্দুস সালাম বাবুল, মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল বাশার টুকু, হাফিজুর রহমান, আকরাম হোসেন, আনিচুর রহমান, জিল্লুর রহমান, মাহমুদুর রহমান সবুজ, তানরুল কাদিও তরুন, জহির উদ্দিন শাহিন, মহিবুল ইসলাম ও রেজওয়ান হোসেন প্রমুখ।
অধ্যাপক আশরাফ আলী জানান, রাধানগরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে রেল বিভাগ। তারা তাদের সম্পদ দিয়েছেন রেল বিভাগকে। কিন্তু তাদের এলাকার নামে স্টেশন না করে করেছে পদ্মবিলার নামে। জমি অধিগ্রহণের সময়েও তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। রাধানগরে জমির শতক ৯ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। পদ্মবিলায় জমির শতক ধরা হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে তাদেরকে ঠকানো হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা জানান, পদ্মবিলা নাম দেওয়ার নেপথ্যে অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাধানগরে জংশন তৈরি করে পদ্মবিলার জমির দাম অর্থাৎ ৭০ হাজার টাকা করে শতক ধরে টাকা নিয়েছেন। তাদের মৌজা অনুযায়ী ৯ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তাদের দাবি, রাধানগর এলাকার নামেই করতে হবে স্টেশন। অন্যথায় পদ্মবিলার নামে রাধানগরে জংশন রাখতে দেবেন না তারা।