বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদত আলম ঝুনু (৫৬) কারা হেফাজতে মারা গেছেন। তিনি সকালে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে তার মৃত্যু হয়।
বগুড়া জেলা কারাগারের জেল সুপার ফারুক আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঝুনু জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ছিলেন।
জেল সুপার ফারুক আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সকালে ঝুনু গোসল করে ফেরার পথে পড়ে যান। ঘটনা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ঘটে। সম্ভবত তিনি স্ট্রোক করেছিলেন। তিনি পড়ে যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিকেল ৪টার দিকে বগুড়া থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নেওয়ার পথে অবস্থার আরও অবনতী হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে সিরাজগঞ্জ ক্যাপ্টেন মনসুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ সেখানে আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বগুড়ায় নিয়ে আসা হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বগুড়ায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ আগস্টের পর ঝুনুর বিরুদ্ধে ৪টি হত্যার অভিযোগসহ ৭টি মামলা করা হয়। এ ঘটনায় ঝুনুকে গত ২৬ আগস্ট তার বাড়ি থেকে বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করে। এর কয়েক দিন আগে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।