সারা বাংলা

খুলনায় গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে সভা

খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের নিয়ে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ। 

সভার শুরুতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া করা হয়।

স্মরণসভায় প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার সমন্বিত গণঅভ্যুত্থানে দেশের জনগণ নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে। জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী নতুন দেশ বিনির্মাণ এখন সকলের দায়িত্ব। গণঅভ্যুত্থানে নতুন অধ্যায় সূচনা হয়েছে। আমরা চাই আধুনিক ও বৈষম্যহীন সমাজ। দেশে বৈষম্য থাকতে পারে না।’’ 

হেলাল মাহমুদ শরীফ আরও বলেন, ‘‘যে কোনো প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য এবং এটি আমরা যুগে যুগে দেখতে পেয়েছি। সকল আন্দোলনে সবার পক্ষে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না। যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তারা আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেন ও অন্যদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যান। যারা গণঅভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন, দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছেন এবং যে মায়েরা সন্তান হারিয়েছেন, সবারই আত্মত্যাগ সফল হোক। সবাইকে নিয়ে আমরা যেন সুন্দর বাংলাদেশ, সুন্দর সমাজ ও সুন্দর বিশ্ব গড়তে পারি।’’  

স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল হক, পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. শেখ সফিকুল ইসলাম ও গণঅভ্যুত্থানে শহিদ সাকিব রায়হানের মা নুরনাহার। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম, এহতেশামুল হক শাওন, আহত শিক্ষার্থী জীবন হাওলাদার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল-শাহরিয়ার, বিএল কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সাদ, লামিয়া আক্তার প্রমুখ বক্তৃতা করেন। 

স্মরণসভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।