পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন শিক্ষার্থী। বর্তমানে তারা কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের রহমতপুর জিএমএস টিসিং হোম কোচিং সেন্টারে অধ্যয়নরত অবস্থায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরা খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের থেকে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো বুধবারেও এসব শিক্ষার্থী ওই কোচিং সেন্টারে পড়তে যায়। পরে রাত ৯টার দিকে শারমিন (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর প্রথমে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ সময় একে একে সমৃদ্ধা (১৩, ফাতিমা (১৪), ফারজানা (১৪), জেরিন (১৪), রুবা (১৪), ফাতিমা (১৩), হুমায়রা (১৫) ও মমতাজও (১৪) শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা প্রদান করেন। তবে তারা ঠিক কি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি চিকিৎসক।
শিক্ষার্থী শারমিনের বাবা মাইনুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল আমার কন্যা সন্তান কোচিং সেন্টারে কোচিং করতে চায়। রাত ৯ টার দিকে শুনি হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে হাসপাতাল গিয়ে দেখি শ্বাসকষ্টে প্রচুর কষ্ট হচ্ছে তার। এ সময় চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দেওয়ার পর রাত ১টার দিকে কিছুটা সুস্থবোধ করে। এর আগে আমার মেয়ের কোনো দিনও এরকমের সমস্যা হয়নি।”
জিএমএস টিসিং হোম কোচিং সেন্টারের পরিচালক মো. রিপন বলেন, “প্রথমে শিক্ষার্থী শারমিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার প্রচণ্ড পরিমাণে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর তার দেখাদেখি আরো ৯ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেই এবং অভিভাবকদের খবর দেই।”
কলাপাড়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার বিকাশ রায় বলেন, “এই বয়সের শিক্ষার্থীদের এ রকমের শ্বাসকষ্ট হওয়ার কথা নয়। ঠিক কি কারণে এভাবে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। আমরা তাদের চিকিৎসা দিয়েছি, ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী কিছুটা সুস্থ হয়েছে।”