সারা বাংলা

নোয়াখালীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা

নোয়াখালী জেলা শহরে দিন দিন বাড়ছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা। এতে শহরে যেমন যানজট বাড়ছে, তেমনি শহরবাসী চলাফেরা করতে অস্বস্তি বোধ করছেন। পুরো শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। যার মধ্যে রয়েছে চিকন ও মোটা চাকার অটোরিকশা, ইজিবাইক, মিশুক অন্যতম। এতে করে শহরে যানজট দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। অপরদিকে, ভোগান্তিতে পড়ছে শহরবাসী ও রাস্তায় চলাচলকারীরা। 

সচেতন মহল বলছেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কারোর নজরদারী না থাকার কারণে এসব অবৈধ যানবাহন শহরে চলাচল করছে। 

ইকবাল হোসেন নামে একজন চাকরিজীবী বলেন, “অফিসে দ্রুত যাওয়ার জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় উঠি। কিন্তু যখন মূল শহরে প্রবেশ করি অসংখ্য ধরনের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার জন্য যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে নির্ধারিত সময়ে অফিসে পৌঁছাতে পারি না।”

আনিসুর রহমান নামে একজন ব্যাংকার বলেন, “নির্ধারিত সময়ে আগেই ঘর থেকে বের হই ব্যাংকে যাওয়ার জন্য। কিন্তু শহরে অটোরিকশার কারণে যে যানজট সৃষ্টি হয়, তা অতিক্রম করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। অফিসের গাড়ি ব্যবহার করি, খুব সাবধানে চলতে হয়। যে দ্রুত গতিতে অটোরিকশা চলে, মনে হয় যেন গাড়ির সাথে লাগিয়ে দেবে।”

আবুল কাশেম নামে একজন শিক্ষক বলেন, “বিভিন্ন ধরনের অটোরিকশার জন্য শহরে চলাফেরা করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। চলাফেরা করতে বেগ পেতে হয়। তাছাড়া অটোরিকশার গতি সম্পর্কে চালকদের ধারণা না থাকায় অহরহ ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।”

মুনিয়াত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “কলেজে যাওয়া-আসার সময় অটোরিকশার দাপট ও গতির কারণে রাস্তা পার হতে অনেক সময় লেগে যায়। তাছাড়া চালকদের ভাষা ব্যবহারও অসঙ্গতিপূর্ণ।” 

পারভিন নামে একজন গৃহিণী বলেন, “বাজারে যেতে-আসতে ব্যবহার করতে হয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। চালানোর কোনো নিয়ম-কানুন জানে না। আস্তে চালাতে বললে কথা শুনে না। ভাড়া নিয়েও বাগবিতণ্ডা করে।” 

নোয়াখালী নাগরিক আন্দোলনের সদস্য সচিব জামাল হোসেন বিষাদ বলেন, “শহরে যে হারে ব্যাটারিচালিত যানবাহন বাড়ছে তাতে পরিবহন খাতে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। এগুলোর যদি লাগাম টানা না হয়, সামনে এ বিশৃঙ্খলা আরও বাড়বে। প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।” 

জেলা ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক সিরাজ উদ্দিন বলেন, “মূল শহরে যাতে ব্যাটারিচালিত যানবাহন অতিরিক্ত না চলতে পারে তার জন্য আমরা রেশনিং পদ্ধতির কথা ভাবছি। এতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যার যানবাহন চলতে পারবে। এটি কার্যকর হলে জেলা শহরের রাস্তায় যানজট কমবে। জনগণও স্বস্তি পাবে।”