সারা বাংলা

নোয়াখালীতে অস্ত্র নিয়ে মহড়া, ৩ যুবককে গণপিটুনি 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার সময় তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বাজারে তাদের গণপিটুনি দেওয়া হয়।

আটকেরা হলেন, উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে হাসান (১৮), একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের দোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে শাকিব (২৪) ও গোপালপুর ইউনিয়নের মহবুল্যাপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে বাহার উদ্দিন (২৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাসান ৪-৫ দিন আগে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পায়। এরপর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে গোপালপুরের সিএনজি স্ট্যান্ড ও বাজার দখলের হুমকি দেয়। দুপুরের দিকে বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে গোপালপুর বাজার এলাকায় অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে মহড়া দেয়। তখন ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন একত্রিত হয়ে তাদের ইটপাথর নিক্ষেপ করে ঘেরাও করে ধরে গণপিটুনি দেয়। এ সময় একটি দেশীয় তৈরি এলজি বন্দুক ও এক রাউন্ড কার্তুজসহ তাদের পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।

গোপালপুর ইউনিয়ন বাজারের মাইন উদ্দিন বলেন, ‘‘মোটরসাইকেল নিয়ে গোপালপুর বাজারে মহড়া দেওয়া সময় আমি তাদের মুখোমুখি পড়ে যাই। এ সময় তারা আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে৷ গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর আগে, গোপালপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মহসিনকে কোমরে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের মারধর করে অস্ত্রসহ পুলিশে সোপর্দ করে। হাসান যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।’’ 

বেগমগঞ্জ মডল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। এর আগেই এলাকাবাসী তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে একটি এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজসহ পুলিশে দেয়। এর মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।