সারা বাংলা

গাইবান্ধায় মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় শাহিদুল প্রধান (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত সাত জন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করে। 

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তিন জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।” 

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের মালাধর গ্রামে সংঘর্ষ হয়। 

নিহত শাহিদুল প্রধান একই গ্রামের হাসিম প্রধানের ছেলে। আহতদের নাম জানা যায়নি।

আটকরা হলেন- আব্দুর গফুর (৩৮), শাকিল আহমেদ (২৭) ও শাফিউল সোহাগ (৩০)। তাদের সবার বাড়ি মালাধর গ্রামে।  

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মালাধর গ্রামে মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার মুসল্লিদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। আজ জুমার নামাজের পর মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মজিদুল ইসলামসহ দুই জনকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। 

একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় মজিদুল ইসলাম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন লাঠি নিয়ে শাহিদুল প্রধানের ওপর হামলা চালায়। পরে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গুরুত্বর আহত হন শাহিদুল। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদুল ইসলাম বলেন, “মসজিদের নতুন কমিটিতে পুরাতন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে মজিদুল ইসলামের সঙ্গে শাহিদুল প্রধানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মজিদুল লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহিদুলের মাথায় আঘাত করেন।” 

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, “নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি।”