রংপুর নগরীর গনেশপুর এলাকার বকুলতলা জান্নাতবাগ মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের সিয়াম নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। পুলিশ এ ঘটনায় একজন শিক্ষক ও ছাত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সিয়াম রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বুজরুক ঝালাই এলাকার ভুট্টা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার সহপাঠীদের মাঝে শোকের মাতম চলছে।
শুক্রবার ( ২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় মামলা ও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের সময় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা নামাজ পড়তে এলেও সিয়াম আসেনি। খোঁজাখুঁজির পরে রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসার তৃতীয় তলার একটি কক্ষে সিয়ামের মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে থানার পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে বলৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার তদন্ত করছে পিবিআই ও পুলিশ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুর রহমান নামে এক শিক্ষক ও মোকলেছ নামে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
নিহত সিয়ামের বাবা ভুট্টু মিয়া বলেন, “বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সিয়ামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল। সে শুক্রবার সকালে বাড়িতে ছুটি নিয়ে ফিরবে বলে জানিয়েছিল। তার মা ছেলের জন্য মাংস কিনে রেখেছিলেন। অথচ এখন সে বাড়ির পরিবর্তে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।”
মাত্র তিন সপ্তাহ আগে সিয়ামকে ওই মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে ভর্তি করানো হয় বলে জানান তার বাবা। হঠাৎ এমন মৃত্যুর ঘটনায় তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলেকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন তিনি।
ওসি আতাউর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা মনোয়ার হোসেন ভুট্টু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত দুই আসামিকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”