চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় তিনি মামলা দায়ের করেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি আবদুল করিম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আবদুল করিম জানান, শনিবার সকালে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন থানায় উপস্থিত হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। তবে এখনো আসামিদের নাম-পরিচয় বিস্তারিত প্রকাশ করা হচ্ছে না।
জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার আদালতে আইনজীবী ও পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিহত আলিফের ভাই বাদী হয়ে পৃথক একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ১১৬ জনকে আসামি করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকেও তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত এসব মামলায় অন্তত ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করেন। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিক্ষোভ করেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় চিন্ময়ের অনুসারীদের। এ সময় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলামকে আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ওই দিন গণমাধ্যমে বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা সাইফুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী ছিলেন।
বুধবার চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে সাইফুল ইসলাম আলিফের দাফন সম্পন্ন হয়। তিনি ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।