চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ কোটি টাকা মূল্যের সিগারেটের বড় চালান আটক করেছে বন্দর কাস্টমস এর এ আই আর শাখা। পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি কারখানার নামে থাইল্যান্ড থেকে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনারে এই সিগারেট আমদানি করা হয়।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কনটেইনারটি থেকে এই সিগারেট উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
কাস্টমস এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিগারেটের চালান আটকের এ তথ্য জানানো হয়৷ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারের কাছে আসা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিস্ক ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা রপ্তানিকারকের ওয়েবসাইট, উৎস দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা বিশ্লেষণ করে এ চালানে অসত্য ঘোষণার পণ্য থাকার বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। এর পর বিকেল ৩টার দিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় খেয়াতি লেদার ইনোভেশনস বিডি লিমিটেডের নামে আসা কনটেইনারটি পরীক্ষা শুরু করে এআইআর টিম। ওই কনটেইনারে ৭৪০ কার্টনে Lamer ব্রান্ডের ন্যানো সিলভার, গ্রে, ব্লু এবং হোয়াইট ফ্লেভারের ৭৪ হাজার শলাকা সিগারেট পাওয়া যায়।
এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দর সিকিউরিটি, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, শিপিং এজেন্ট ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এ চালানের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে কাস্টমস আইন ২০২৩ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছেন কাস্টম হাউসের কমিশনার।
এর আগে এআইআর টিম গত ৫ সেপ্টেম্বর ফেব্রিক ঘোষণায় ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ এবং গত ২৭ জুন ওয়াটার ফিউরিফাইয়ার মেশিন ঘোষণায় ৫০ হাজার শলাকা সিগারেট আটক করেছিল।