সারা বাংলা

এক্সপ্রেসওয়েতে তরুণী হত্যায় প্রেমিক তৌহিদ ভোলা থেকে গ্রেপ্তার 

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে গত ৩০ নভেম্বর শাহিদা আক্তার (২২) নামে গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মরদেহের পাশ থেকে ৫টি গুলির খোসা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভোলা থেকে তৌহিদ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশ।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে তাকে ভোলার ইলিশা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইশতিয়াক আশফাক রাসেল। 

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সাহিদা আক্তারের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ এবং সেদিন রাতে ওই ঘটনায় মামলা হয়। নিহতের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেন।  শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী মামলার বিষয়টি জানান।

অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও নিহতের মা জরিনা বেগম তখন উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, “তৌহিদ নামের একটি ছেলে আমার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করেছিলো। ছেলেটি গাজার ব্যবসা করে। এজন্য আমি মেয়েকে তার সাথে চলতে নিষেধ করতাম। সে ছেলেই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।”

নিহত সাহিদা আক্তার ময়মনসিংহের কোতয়ালি থানার বরিয়ান বেগুনবাড়ির মৃত মোতালেবের মেয়ে। তবে, তিনি ঢাকার ওয়ারীতে মা ও ভাইয়ের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন।