সারা বাংলা

ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতার মরদেহ উত্তোলন 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত মাগুরা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। 

আদালতের নির্দেশে সোমবার (২ ডিসেম্বর) মাগুরা সদর উপজেলার বরুনাতৈল গ্রামের কবর থেকে রাব্বির মরদেহ তোলা হয়। গত ৪ আগস্ট মারা যান তিনি। 

 

মাগুরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

মারা যাওয়া রাব্বি একই গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট সকাল পৌনে ১০টার দিকে মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের পারনান্দুয়ালী নবগঙ্গা নদীর ব্রিজের ওপর অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর কিছু দূরে ব্রিজের পশ্চিম পাশে অবস্থান নেয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয়পক্ষ একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। দুপুরে গুলিতে আহত হন রাব্বি। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমর প্রসাদ রাব্বিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাতে রাব্বির মরদেহ দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় রাব্বির বড় ভাই ইউনুস আলী গত ১৩ আগস্ট রাতে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে তিনি ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো নাম না জানা ১৫০ জনকে আসামি করেন। 

মাগুরা কোর্ট পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, রাব্বি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনে মাগুরা অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলি আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন আদালত। ময়নাতদন্ত শেষে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আবারও তার মরদেহ দাফন করা হবে।