চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার কিশোর অটোরিকশা চালক মহিন মিয়াজী (১৭) হত্যা মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানায়।”
আরো পড়ুন: খালের পাড়ে ছিল কিশোরের মরদেহ
গ্রেপ্তাররা হলেন- মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা মো. রাব্বি (২৬), মো. জসিম (২৬) ও মো. ইসমাইল হোসেন (৪৪)।
মারা যাওয়া মহিন উপজেলার উপাদি উত্তর ইউনিয়নের ডিঙাভাঙা গ্রামের নাছির উদ্দীন মিয়াজির ছেলে।
পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব বলেন, “মহিন হত্যার ঘটনায় গত ১ ডিসেম্বর থানায় মামলা হয়। ওই ঘটনায় মতলব দক্ষিণ থানার ওসি পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করেন। দলটি হত্যায় জড়িত আসামি মো. রাব্বি ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে ২ ডিসেম্বর (সোমবার) জসিম ও ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ইসমাইলের কাছ থেকে অটোরিকশার চারটি ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে। পলাতক আসামি সুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।”
পুলিশ জানায়, গত ২৯ নভেম্বর দুপুরে আসামি সুজন মোবাইল ফোনে মহিনকে মতলব ধনারপাড় আসার জন্য ডাকেন। মহিন তার কথা মতো অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে ধনার পাড়ে যান। পরে সুজনসহ অন্য আসামিরা মহিনের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে নাগদা, আশ্বিনপুর, নারায়নপুরসহ বিভিন্নস্থানে যান। সন্ধ্যার পরে তারা উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলুতি গ্রামের গোলগেইল্যা খালের পাড়ে যান। সেখানে আসামিরা মহিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। তারা অটোরিকশাটি নিয়ে আসামি ইসমাইলের গ্যারেজে যান।
সংবাদ সম্মেলনে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদিপ্ত রায়, (ক্রাইম এন্ড অপস) রাশেদুল হক চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খাইরুল কবির, মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত উপস্থিত ছিলেন।