টাঙ্গাইলে খাদ্য কর্মকর্তা ও ডিলারদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের খাদ্য কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি অভিযোগ রয়েছে। এতে কার্ডধারী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের পাতুলীপাড়া এলাকার ডিলার আরিফ হোসেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৬ বস্তা চাল বিক্রি করেন। সেই চাল সদর উপজেলার পাইকমুড়িল গ্রামের ব্যবসাযী আলামিন কিনে নেন। অভিযোগ রয়েছে, আলামিলের বাবা বিশ্বাস বেতকা ফুড অফিসের দারোয়ানের চাকরি করায় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনে নিয়ে তা বেশি দামে বিক্রি করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গ্রাহক বলেন, ‘‘আমরা সকাল থেকে চালের জন্য লাইনে থাকি। দুপুর ১২টার মধ্যে চাল শেষ হয়েছে বলে জানান ডিলাররা। তবে তারা সিন্ডিকেড করে চাল কালোবাজারে বিক্রি করেন। খাদ্য পরিদর্শকরাও এ বিষয়ে প্রদক্ষেপ না নেন না।’’
ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, ‘‘আমি চাল গরুকে খাওয়ানোর জন্য কিনেছি। কোনো কালোবাজারির সঙ্গে আমি জড়িত নই।’’
সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মো. মুসা বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বাজারে বিক্রি হয় না। গরুর খামারে বা বাইরে বিক্রির সুযোগ নেই। এ রকম কেউ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলামিনের চাল কেনা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার পরও তার তৎপরতা দেখা যায়নি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার বলেন, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।