সারা বাংলা

রংপুরে শ্যামাসুন্দরী খাল দখল মুক্তে অভিযান

রংপুর শহরের লাইফলাইন খ্যাত শ্যামাসুন্দরী খালের দখলকৃত জায়গা উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর কেরামতিয়া এলাকায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এতে সহায়তা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, “১১৭ জন অবৈধ দখলদারের ২৫টি নথি প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান খাল দখল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।”

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে দখল ও দূষণে অস্তিত্ব সংকটে শ্যামাসুন্দরী। এই খালটি নগরীর সিও বাজার এলাকার ঘাঘট নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে মাহিগঞ্জ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার বহমান। খালের অনেক জায়গা প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এই খাল উদ্ধার ও সংস্কারে অতীতে দুই দফায় প্রায় ৩৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে রংপুর সিটি করপোরেশন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী এবার খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

রংপুর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, “২৪-এর বিপ্লবকে বুকে ধারণ করে যে করেই হোক এবার শ্যামাসুন্দরীর প্রাণ ফেরানো হবে। দখলদার যতই প্রভাবশালী হোক উচ্ছেদ অভিযান সফল করতে হবে।”

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে প্রায় ৪০০ জনের অধিক অবৈধ দখলদারের তালিকা প্রস্তুত করে অভিযান শুরু করেছিল প্রশাসন। সেসময় প্রভাবশালীদের বাধায় তা আলোর মুখ দেখেনি।