জামালপুরে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতা পরিকল্পনার দুইটি মামলায় জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জামালপুর আমলী আদালতের বিচারক রোমানা আক্তার এই আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আমান উল্লাহ আকাশ বলেন, “সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে জামালপুর সদর থানার দুইটি মামলায় গ্রেপ্তারের আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শুনে দুই মামলাতেই আবুল কালাম আজাদের গ্রেপ্তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। আমরা তার জামিনের আবেদন দিয়েছি। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে দুই মামলাতেই শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছে।”
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আনিসুজ্জামান বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে সদর থানায় দায়ে করা দুটি মামলায় আজ আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। রাষ্ট্র পক্ষ থেকে এখনো রিমান্ড আবেদন করা হয়নি। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদন করবেন।”
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামালপুর পৌর শহরের বকুলতলায় পথসভা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পথসভায় সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজমসহ চারজনের নির্দেশে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর জামালপুর শহর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শেখ ফরিদ মামুন বাদী হয়ে সদর থানায় মির্জা আজম, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানান ১০০-২০০ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
অপরদিকে, গত ৩ আগস্ট পৌর শহরের পুরাতন শিল্পকলা এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহাদৎ হোসেন সাগর বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা করেন। এই দুই মামলায় আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়।