বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে একটি পরিচ্ছন্ন সবুজ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নিজের স্কুলজীবনের বন্ধুসহ সকল মহলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র নগরীর জিইসি মোড়ে ৪৩ বছর আগের স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৮১ ব্যাচের মেধাবী ছাত্র ছিলেন ডা. শাহাদাত। দীর্ঘ ৪৩ বছর পর ওই ব্যাচের ৬২ জন ছাত্রের মধ্যে ৪২ জন ছাত্র এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এই অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, “চট্টগ্রামের খালগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। একসময় নগরী ঘিরে ৭২টি খাল ছিল। কিন্তু সর্বশেষ পরিসংখ্যানে ৩৬টি খালের অস্তিত্ব মিলেছে। বাকি খালগুলো বিলীন হয়ে গেছে। যেসব খাল বিদ্যমান আছে সেগুলোও আবর্জনার জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। কেবল হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প করে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। কারণ, যেই নালা-খাল হাজার কোটি টাকা খরচ করে বানানো হয়েছে তা যদি জনগণ দখলমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন না রাখে তাহলে জলাবদ্ধতার সমস্যা কোনদিনও সমাধান হবে না।”
মেয়র বলেন, “চট্টগ্রামকে একটি ক্লিন, গ্রিন, এবং হেলদি সিটিতে রূপান্তর করার লক্ষ্য নিয়ে আমি কাজ করছি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও রিসাইক্লিং প্রসেস চালু করে ময়লা-আবর্জনাকে সম্পদে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করেছি। বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে নগরায়ন ও শিল্পায়ন বৃদ্ধি পাওয়ায় যুগের চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সীমানা বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।”
পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, “কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, এবং জাপানের রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠক করেছি। তাদের সহায়তায় চট্টগ্রামকে আধুনিক শহরে রূপান্তরিত করতে কাজ করছি।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বার্ড-এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. আবদুল করিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ছগির আহমেদ শরীফ, কাফকোর সাবেক প্রটোকল অফিসার আবদুর রহিম, বিশিষ্ট ব্যাংকার নাইমুল আহসান, যমুনা অয়েলের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ ছগির ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক এ বি এম সোয়েব চৌধুরী প্রমুখ।