‘আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে’ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুনের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করার অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়কালে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন ছাত্র প্রতিনিধি আনিসুর রহমান সজল।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ওই নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন। তবে এমন কোনো মন্তব্য করেননি বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যগণের সাথে মতবিনিময় করেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। মতবিনিময়ের এক পর্যায়ে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান সজল।
তিনি বলেন, “সম্প্রতি সদরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও আল মামুন। ওই অনুষ্ঠানে আমি বক্তব্য দিই। আমি বলি, দিল্লির কোনও প্রেসক্রিপশনে চলবে না বাংলাদেশ।”
আনিসুর রহমানের অভিযোগ, এরপর ইউএনও আল মামুন তাকে ডেকে নিয়ে কথা বলেন। সে সময় তিনি তার অঙ্গভঙ্গি ও কৌশলে বলার চেষ্টা করেন, ‘আওয়ামী লীগ উইল বি কাম ব্যাক, টুডে অর টুমোরো’ (আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে, আজ অথবা আগামীকাল)।
এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন সভায় উপস্থিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। তিনি তাৎক্ষণিক ওই ইউএনওকে প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তালুকদারকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, “আজকের মধ্যে এই ইউএনও উইথড্র (প্রত্যাহার) হবে এবং আমি আগামীকাল মন্ত্রণালয়ে ফিরে গিয়ে তাকে সাসপেন্ড (সাময়িক বরখাস্ত) করবো। আমি পাবলিকলি (জনসমক্ষে) বলে গেলাম, এত দুঃসাহস?”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, “আমি এমন কোনো কথাই বলিনি। ওনাদের সঙ্গে যখন কথা বলি, তখন বিএনপি, জামায়াতের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। ওই ধরনের কথা বলা হয়নি।”
জ্যেষ্ঠ সচিবের নির্দেশের পর ইউএনওকে প্রত্যাহার করা হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি।