সারা বাংলা

টাঙ্গাইলে হাসপাতালে র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন নেই, রোগীদের দুর্ভোগ 

টাঙ্গাইল হাসপাতালে সরকারিভাবে দেওয়া বিনামূল্যের র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন মিলছে না। এতে রোগীসহ স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

ররিবার (১৫ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ ক্লিনিক ভবনে স্থাপনকৃত র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন বিতরণ কক্ষে ভ্যাকসিন মেলেনি। সরকারি ভ্যাকসিন না থাকার সুযোগ নিয়ে কোম্পানির ভ্যাকসিন ওই ভবন চত্বরে বিক্রি করছেন কয়েকজন প্রতিনিধি।

ভুক্তভোগী ফাতেমা জানান, গত ১১ ডিসেম্বর তার দুই বছরের বাচ্চাকে বিড়ালে খামচি দেয়। ১২ ডিসেম্বর এখান থেকে বিনামূল্যে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছেন। এভাবে তিনটি ডোজ দেওয়ার তারিখ লিখে দেন কর্তব্যরত নার্স। আজকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার দিন। এসে শোনেন সরকারি ভ্যাকসিন নেই। বাধ্য হয়ে ভ্যাকসিন কিনে বাচ্চাকে দিয়েছেন।

রুবী আক্তার নামের এক রোগীর স্বজন জানান, দুটি ডোজ বিনামূল্যে পেয়েছেন। আজকে এসে শোনেন ভ্যাকসিন নেই। তাই বাধ্য হয়ে এখানে থাকা এক ওষুধ বিক্রেতার কাছ থেকে কিনে বাচ্চাকে শেষ ডোজ দিয়েছেন। সরকারি ভ্যাকসিন হঠাৎ উধাও হলো, নাকি বাড়তি সুবিধা নিতে দায়িত্বরতরা না থাকার কথা বলছেন, বুঝতে পারছেন না।

দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স আমিনুল ইসলাম জানান, বরাদ্দকৃত সরকারি ভ্যাকসিন শেষ হওয়ায় রোগীদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। ভবনের বাইরে যারা ভ্যাকসিন বিক্রি করছেন, তারা হাসপাতালের কেউ নন। তাদের এ ভবন চত্বরে ভ্যাকসিন বিক্রির অনুমতি না দেওয়াসহ কোনো বাড়তি সুবিধা তারা নিচ্ছেন না বলে জানান তিনি।  তিনি বলেন, ‘‘দালাল আর বহিরাগত ওষুধ বিক্রেতাদের বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এরআগে কয়েক দফায় পুলিশের হাতে আটকও হয়েছেন তারা।’’ 

অপর দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রিজিয়া জানান, এ বছর রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সরবরাহকৃত ভ্যাকসিন সময়ের আগেই শেষ হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে ভ্যাকসিনের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করেন, দ্রুত সরকারি ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘‘চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন বিতরণে সমস্যা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে আমরা যে পরিমাণের চাহিদা দিই, সেই পরিমাণ ভ্যাকসিন আসে না। সরকারি ভ্যাকসিন আসলেই এ সমস্যার সমাধান হবে।’’ 

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ভিতরে দালাল বা বাইরের ওষুধ বিক্রেতাদের বিক্রির সুযোগ নেই। এরপরও যদি কেউ কেউ বিক্রি করে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।