সারা বাংলা

মাঠে আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত দিনাজপুরের কৃষক

চলতি রবি মৌসুমে দিনাজপুরে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে মাঠে আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ জেলার কৃষক। বাজারে ভাল দাম পাওয়ায় খুশি তারা। 

দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে ৪৯ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। 

চলতি বছরে বাজারে বেশি চাহিদা এবং ভাল দাম থাকায় আলু চাষে আগ্রহী উঠেন জেলার কৃষকেরা। ভাল দাম পাবার আশায় গত ৪৫ থেকে ৫০ দিন আগে আগাম জাতের আলু চাষ শুরু করে কৃষক। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এতে বিঘাপ্রতি আলুর ফলন হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ মণ। বাজারে এসব আগাম জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ টাকা মণ, ৭০ টাকা কেজি। তাতে খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি কৃষকের লাভ হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

এদিকে নমলা জাতের (পরে লাগানো) আলু প্রায় জমিতে চাষ করা শেষের দিকে। তবে ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও আলুর চাষ করবেন কৃষক। গড়ে এসব আলু বাজারে উঠতে আরও সময় লাগবে। তবে এসব আলু স্বাভাবিক দামে বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়াও স্টোর করা হয় এসব আলু।

হাকিমপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের আলু চাষি রেজাউল করিম বলেন, “এবার আমি তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছি। ফলন অনেক ভাল হয়েছে। দামও ভাল পাচ্ছি।” 

আলু চাষি তোফায়েল আহমেদ বলেন, “মোট পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছি। আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছি। বাজারে বিক্রিও করছি। এবার অনেকটা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি।” 

হাকিমপুর কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, “উপজেলার বিভিন্ন মাঠে মাঠে আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছে কৃষক। আমরা প্রতিনিয়ত মাঠ পরিদর্শন করে যাচ্ছি। আলুর ফলন ভাল হয়েছে। বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং দামও ভাল পাচ্ছেন কৃষক। এই উপজেলায় আলু চাষে কৃষকেরা আরও আগ্রহী হয়ে উঠছে।”

দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, “চলতি মৌসুমে জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হাজার হেক্টর জমি। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আরও ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত কৃষকেরা আলু চাষ করে থাকে। আশা করছি আলুর চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।”