বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হাকিমপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নারী উদ্যোক্তাদের মেলা। যেখানে উদ্যোক্তারা তাদের নিজের হাতের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) হাকিমপুর উপজেলা প্রশাসন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে উপজেলা চত্বরে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় উপজেলার নারী উদ্যোক্তা ফোরামকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এখানে ৩৮টি স্টল ছিলো। নারী উদ্যোক্তারা ঘরে বসে শাড়ি, থ্রি পিস, ব্যাগ, পাপোষ, বিভিন্ন প্রকার আচার ও উন্নতমানের খাবার তৈরি করছেন। তালিকায় রেখেছেন চাইনিজ খাবার, মাশরুমের চপসহ নানা রকমের পিঠা-পুলি।
অনেক উদ্যোক্তা তাদের কাজের জন্য আরো ৮-১০ জন নারী শ্রমিকও রেখেছেন। একদিকে নিজেরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে আরো বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করছেন তারা।
মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের মেলায় এসে খুবি ভাল লাগছে। অনেক ধরনের খাবার ও প্রসাধনী তাদের স্টলে সাজিয়ে রেখেন। খুব ভাল উদ্যোগ। নারীরা আসলে কর্ম করতে পারে, এখানে এসে তা আবারো দেখা গেলো। তবে মেলাটি একদিনের জন্য ছিলো, যদি কয়েকদিন ধরে থাকতো তাহলে খুবি ভাল হতো।
হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হামিদা আকতার ডালিম বলেন, “বর্তমানে নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সদস্য ২০০ জনের উপরে। আমাদের সবার উদ্দেশ্য এক। কীভাবে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলবো, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমান উপজেলা প্রশাসন আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। প্রতিটি সদস্য তাদের নিজ নিজ হাতের তৈরি খাবার ও প্রসাধনী মেলায় তুলেছেন। আলহামদুলিল্লাহ সবার বেচা-বিক্রি অনেক ভাল হয়েছে।”
হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি রোমেনা আক্তার মনি বলেন, “আমি গর্বিত হাকিমপুর নারী উদ্যোক্তা হতে পেরে। প্রথমে ২০ জন নারী সদস্য নিয়ে কাজ শুরু করি। বর্তমানে আমাদের ২০০ জন সদস্য রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা এর আগে দিনাজপুরে নসিবের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। এখন নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী আগামীতে আরো এগিয়ে যাবো।”
হাকিমপুর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার বলেন, “বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন নারী উদ্যোক্তাদের মেলার আয়োজন করে। এটি শুধু তাদের উৎসাহিত করার জন্যই আয়োজন করা। নারীরা আর পিছিয়ে পড়ে না থাকে। হাকিমপুরে বর্তমানে অনেক নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর তারা অনেক ধরনের আইটেমের স্টল দিয়েছে। আমি আশাবাদী হাকিমপুরের নারী উদ্যোক্তারা আগামীতে আরো এগিয়ে যাবে।”