কুমিল্লার লালমাইয়ে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিলেন, হাতকড়া হাতে কাঁধে মায়ের মরদেহের খাটিয়া বহন করলেন যুবলীগ নেতা আবদুল মোতালেব।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়াপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে এসে আবদুল মোতালেব তার মাকে শেষ বিদায় জানান।
একটি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে কারাগারে রয়েছেন লালমাই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল মোতালেব।
রোববার মারা গেছেন তার মা হাফেজা খাতুন। মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মাকে শেষ বিদায় দিয়েছেন তিনি। তবে এ সময় তার হাতে হাতকড়া ছিল।
সোমবার দুপুরে তিনি নেতা হাতকড়া পরা অবস্থায় দুতিয়াপুর এলাকার নিজ বাড়ির পাশের মাঠে মায়ের জানাজায় অংশ নেন। তার হাতকড়া পরা অবস্থায় জানাজায় অংশ নেওয়া ও মায়ের লাশ বহনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবার থেকে জানানো হয়, রোববার রাত ৯টা ২০ মিনিটে যুবলীগ নেতা আবদুল মোতালেবের মা হাফেজা খাতুনের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ১১৭ বছর। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে আবদুল মোতালেবের প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। সোমবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল কায়ছার।
জানাজার আগে বক্তব্যে আবদুল মোতালেব বলেন, “আমার নসিব খারাপ। ২০০২ সালে যখন আর্মিরা আমারে ধরছে (গ্রেপ্তার), তখন আমার বাবা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এ বছর আমারে ধরার পর আমার মা মারা গেছেন। সেই বিপদে বাবাকে হারাইছি, এই বিপদে মাকে হারালাম। আমার মা-বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন।”
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, “প্যারোলে মুক্তি পেয়ে কারাগারে থাকা দুতিয়াপুর গ্রামের আবদুল মোতালেব মায়ের জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন। জেলা পুলিশের একটি দল তাকে বাড়িতে এনে জানাজা শেষে আবার নিয়ে গেছে। আমাদের থানা-পুলিশের একটি টিমও নিরাপত্তা সহায়তায় সেখানে ছিল।”