নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে নাব্যতা ফিরে পাবে এ দুই নদীর ৫৮ কিলোমিটার। এর সুবিধা পাবেন খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও রাঙ্গামাটির লংগদু আর নানিয়ারচর এলাকার মানুষ।
খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি হতে নানিয়ারচর আর মাইনি নদীর ইরানছড়ি হতে লংগদু মুখ পর্যন্ত এই খনন কাজ করা হচ্ছে।
নদীর দুই পাড়ের লোকজন জানান, খনন কাজ করার ফলে একদিকে নদী নাব্যতা ফিরে পাচ্ছে আরেক দিকে নদী থেকে উত্তোলিত পলিমাটি দিয়ে তারা স্কুলের খেলার মাঠ ও পতিত জমিসহ বিভিন্ন জলাশয়গুলো ভরাট করে চাষের উপযোগী করতে পারছেন। ভরাট করা হচ্ছে মসজিদের মাঠও। এছাড়া বর্ষাকালে অতি বৃষ্টির কারণে বন্যা হলে বাজার ঘাট ডুবে যেতো, এখন আর ডুববে না বলে আশা করছেন তারা। এখন থেকে সহজে নদী পথে চলাচল ও নদী থেকে মাছও আহরণ করতে পারবেন।
এই খননের মাটিতে বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট করার ফলে খুশি বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। মাইনি মুখ মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুন নেছা বলেন, “আগে বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ উপযোগী না থাকলেও এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী খনন করার ফলে তারা খেলার মাঠটি ভরাট করতে পারছেন।”
স্থানীয় জন প্রতিনিধি আটারকছড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. রুস্তম আলী নদীর খনন কাজ দ্রুত শেষ করার দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট সুপারভাইজার মনির হোসেন বলেন, “নদীতে বিভিন্ন ধরনের খড়খুটো ও পাথর থাকার কারণে অনেক সময় মেশিন নষ্ট হয়, তা ঠিক করতে সময় লাগছে। তবুও নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। যদি কোনো কারণে শেষ করা না যায়, তবে সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হবে।”
খাগড়াছড়ি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, “বর্তমানে খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অব কাঠামো নদী ভাঙন হতে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় চেঙ্গী নদীর ৩৪. ৫৫ ও মাইনি নদীর ২৩.৬ কিলোমিটার নদীর খনন কাজ চলছে। কাজের অগ্রগতি ২৫%। এই খনন কাজের ফলে ইতিমধ্যে নদী তার নাব্যতা ফিরে পেয়েছে ও কৃষিকেরা সেচের সুবিধা পাচ্ছে এবং শুস্ক মৌসুমেও নৌ চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। এছাড়া নতুন প্রকল্পের আওতায় আরো বেশি কাজ সম্পাদন করা হলে এলাকাবাসী আরো বেশি সুবিধা পাবে।”