সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে যশোর জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম সোহেলের সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
যুবদলের নেতারা জানান, যশোর জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনি দীর্ঘদিন ধরে জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাকে নিয়ে তার ফেসবুক আইডিতে আপত্তিকর তথ্য উপস্থাপন করছিলেন। সম্প্রত্তি জনি জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদকে ইঙ্গিত করে ৫ আগস্ট রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকাতে সম্পদ গড়েছেন এমন পোস্ট করেন। যদিও নানা আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়ে জনি পোস্টটি ডিলেট করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে যুবদল নেতা জনির মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা বলেন, “বিভিন্ন সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জনি আপত্তিকর পোস্ট করতেন। তার বিরুদ্ধে রাজনীতিক প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবুর সুপারিশের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় যুবদল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের এক নম্বর ভান্ডরখোলা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সুপারিশের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
যশোর জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১১ ডিসেম্ববর) সন্ধ্যায় কেশবপুরের সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজারে মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মঞ্জুরের সমর্থক ও ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলমগীর হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবু বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেন্দ্রীয় নির্দেশনাই রয়েছে বিএনপির অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের কোনো ব্যক্তি যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করেন তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হবেন বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।”