চাঁদপুরে ইজিবাইকের চাপায় মো. আহিল (৫) নামে এক শিশু ও বাসের ধাক্কায় জুলহাস খান (২৭) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের কাঠেরপুল নামক স্থানে শিশু আহিল ইজিবাইকের চাপায় প্রাণ হারায়।
নিহত আহিল তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আল-আমিনের ছেলে। আহিল এখনও স্কুলে ভর্তি হয়নি।
মা জান্নাতুল ও স্বজনরা জানায়, অন্যদিনের মতো আহিল বন্ধুদের সাথে খেলার জন্য ঘর থেকে বের হয়। রাস্তা পার হওয়ার সময় হঠাৎ একটি ইজিবাইক তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। তাকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনিসুর রহমান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই শিশুটি মৃত্যুবরণ করে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বিষয়টি অবহিত করলে এসআই লোকমান হোসেন ছুটে আসেন। পরে শিশুটির মরদেহ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে শিশুর স্বজনরা মরদেহ নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা প্রদান করে।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে বাকিলা যাবার পথে বাসের ধাক্কায় মারা গেছেন মোটরসাইকেল আরোহী জুলহাস খান।
হাজীগঞ্জ থানার এস আই জয়নাল আবেদীন বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। শুনেছি জুলহাস খুব দ্রুতগতিতে বাইক চালাচ্ছিলো। পরে সে হাজীগঞ্জ থেকে বাকিলা যাবার পথে অপর দিক থেকে আসা বোগদাদ বাস ধাক্কা দেয়। তার হেলমেট না থাকায় তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মারা যান।”
পুলিশ জানায়, নিহত জুলহাস খান চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কুমড়ারডুগীর খান বাড়ীর বাসিন্দা। তার বাবা মৃত আব্দুল জলিল খান। পরিবারের ২ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে জুলহাস সবার ছোট।
জুলহাসের মা আয়শা বেগম বলেন, “জুলহাসের হাজীগঞ্জে একটি বেকারি ও একটি কনফেকশনারী রয়েছে। সেইগুলোর জন্য মাল কিনতেই সে বাকিলা আসছিল। পথেমধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটলো।”
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ওসি মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জুলহাসের পরিবারের থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।”