সারা বাংলা

কুষ্টিয়ায় বিয়ের দাবিতে তরুণীর অনশন

কুষ্টিয়া উপ-বিভাগীয় সড়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন এক তরুণী। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় সড়ক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ের গাড়ি চালক রাব্বির সাথে বিয়ের দাবিতে ওই নারী অবস্থান করছেন। 

রাব্বি আহমেদ ইমরান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খানের গাড়ি চালক। 

রাব্বি বরিশাল জেলার পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা। অনশনকারী তরুণী যমুনা খাতুন (২০) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সন্তোষ আলীর মেয়ে। তিনি একজন নৃত্য শিল্পী। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে থাকেন। 

স্থানীয়রা জানান, সকাল বেলা আমরা দেখতে পাই একজন নারী সড়ক অফিসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাড়ি চালক রাব্বির সাথে দুই বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। 

অনশনরত ওই তরুণী বলেন, “আমি বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানে নৃত্য করি। আমি একজন নৃত্যশিল্পী। রাব্বির সাথে একটা অনুষ্ঠানে আমার পরিচয় হয়। এরপর মোবাইলে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। দুই বছর ধরে আমাকে শহরের বিভিন্ন জায়গায়, আবাসিক হোটেলে ও ভাড়া বাসায় রেখেছে। আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। স্বামী-স্ত্রীর মতো আমরা একসঙ্গে থেকেছি। আমাকে বিয়ের ছলনা দিয়ে সে এতদিন সম্পর্ক করেছে। সে এখন বিয়ে করতে রাজি না। আমার সাথে প্রতারণা করছে। সে আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব।” 

তিনি আরো বলেন, “রাব্বির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে আমি আমার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়েছি। সে প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ভোগ করেছে। এখন বিয়ে করতে রাজি না সে। আজকে আমি অসহায় হয়ে এখানে এসেছি বিয়ের দাবিতে। সে আমার একটি বাচ্চাও নষ্ট করেছে। সে বলেছে আমাকে কোনো দিন ছেড়ে যাবে না। কিন্তু এখন নানা তালবাহানা করছে। আমি রাব্বিকেই বিয়ে করব। তা না হলে আমি আত্মহত্যা করব।”

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গাড়িচালক রাব্বি আহমেদ ইমরান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের অফিসে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।