সারাদেশের মত পার্বত্য জনপদ রাঙামাটিতেও সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে শুভ বড়দিন। দিনটি উপলক্ষে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে শহরের আসামবস্তি নির্মলা মারিয়া গির্জার উদ্যোগে সমবেত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রার্থনায় অংশ নেন পাহাড়ের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ রাঙামাটির বাইরে থেকে আসা অনেক খ্রিষ্টান পর্যটকও। সমবেত প্রার্থনায় দেশ, জাতি ও সকলের মঙ্গল কামনা করা হয়। প্রার্থনা শেষে কেক কেটে যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিন পালন করা হয়।
কুষ্টিয়া থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সুমিত মণ্ডল বলেন, “আমরা রাঙামাটিতে বেড়াতে আসছি। যেহেতু রাঙামাটিতে খ্রিষ্টান কমিউনিটি কম; তাই দুশ্চিন্তায় ছিলাম বড়দিনের প্রার্থনা কোথায় করবো। কিন্তু এখানে এসে প্রার্থনায় অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। সবাই খুব আপন করে নিয়েছে আমাদের।”
সুমিত মণ্ডলের সহধর্মিণী সুমিত্রা মণ্ডল বলেন, “বড়দিনে প্রার্থনা করাটাই মূল উদ্দেশ্য। প্রার্থনায় অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।”
নির্মলা মারিয়া গির্জার কার্টিকিস্ট স্যামুয়েল আসাম বলেন, “আজ আমাদের প্রার্থনায় অনেক পূণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। আমাদের মূল গির্জার নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় গির্জার পাশের পরিবারে আজকের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। আগামী বছর থেকে আরো বড় পরিসরে বড়দিন উদযাপন করতে পারবো বলে আশা করছি।”
সেন্ট ট্রিজার কনভেন্টের অধ্যক্ষ সিস্টার কাকলি রোজারিও বলেন, “আজ আমাদের জন্য বিশেষ দিন। যুগে যুগে যে মহামানবের জন্ম হয়েছে তিনি প্রভু যীশু। বড়দিন উপলক্ষে আমরা আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি নিয়েছি। আজকের দিনটি উপলক্ষে অনেক জায়গায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। আনন্দ-ভালোবাসায় আজকের দিনটি উদযাপন করবে সবাই। সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাই।”
রাঙামাটির কেন্দ্রীয় গির্জা সেন্ট যোসেফ চার্চের প্রধান পুরোহিত ফাদার মাইকেল রয় বলেন, “আজকের দিনটি আমাদের শিক্ষা দেয় আমরা যাতে চিন্তা চেতনায়, হৃদয়ে, মন-মানসিকতায় বড় হয়ে উঠতে পারি। আজকের দিনে আমরা দেশ জাতি ও সকলের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি। সকলে মন মানসিকতা ও হৃদয়ে বড় হোক এটাই আহ্বান জানাই।”
এদিকে বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা একে অপরের বাড়িতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন।