সারা বাংলা

বগুড়ায় পৃথক স্থানে ট্রাকচাপায় নিহত ৪

বগুড়ায় পৃথক স্থানে ট্রাকের চাপায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে বগুড়ার কাহালু উপজেলার নারহট্ট এলাকায় বাবা-মেয়েসহ তিন জন এবং গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুরে এক নারী নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন—কাহালুর নারহট্ট এলাকার ভ্যানচালক শাহিনুর রহমান (৪৫) এবং একই এলাকার রিয়াজুল ইসলামের ছেলে মো. ফারুক (৪০) ও তার মেয়ে হুমাইরা (৭)। সুখানপুকুরে নিহত নারীর নাম রেশমী খাতুন।

কাহালুতে ঘটনা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাহালু ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সবুজ হোসেন বলেছেন, “বগুড়া থেকে যাত্রী নিয়ে ভ্যানচালক শাহিনুর রহমান কাহালুর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ভ্যানের সামনের চাকা ভেঙে যায়। এ সময় পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক তাদেরকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে ফারুক ও তার মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ফারুক মারা যান। আমরা আসার আগেই স্থানীয়রা ভ্যানচালককে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।”

বগুড়া ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই লালন হোসেন বলেন, “কাহালুর নারহট্ট এলাকায় দুর্ঘটনায় আহত ফারুককে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার সঙ্গে গুরুতর আহত অবস্থায় হুমাইরা নামে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকেও নিয়ে আসা হয়েছিল। বিকেলের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়। দু’জনের লাশই শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারে কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।”

এদিকে, শনিবার সকাল ৮টার দিকে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে রেশমী খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। 

গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিক ইকবাল জানিয়েছেন, রেশমী খাতুন তার স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। সুখানপুকুর এলাকায় রেশমী মোটরসাইকেল থেকে রাস্তার মাঝখানে পড়ে যান। এ সময় পেছন থেকে আসা একটি বালুবাহী ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

নিহত রেশমী খাতুন গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের কালাইহাটা গ্রামের যুবায়ের হোসেনের স্ত্রী।