উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে অব্যাহত রয়েছে শীতের দাপট। রাতভর কুয়াশা ঝরে বৃষ্টির মত। ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীতে কাবু পুরো জনপদ। মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ নেই, তবুও তীব্র শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে পঞ্চগড়ের জনজীবনে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৯ শতাংশ এবং গতিবেগ ঘণ্টায় ১০-১২ কিলোমিটার।
এর আগে, বুধবার একই সময়ে রেকর্ড হয়েছিলো ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান ছিলো মাত্র ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, দুইদিন ধরেই দেখা নেই সূর্যের। হিমেল বাতাসের মধ্যেই মাঠে-ঘাটে কাজ করছেন শ্রমজীবীরা। তবে সন্ধ্যার পর পরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যস্ততম এলাকাগুলো। হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা জনজীবনেও। কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারো বাড়ছে শীতের দাপট। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারনে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এ অবস্থায় শিশুদের বাঁশি খাবার পরিহার করা, খাবার ঢেকে রাখা এবং রাতে শিশুকে নিয়ে বাহিরে বের না হবার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “আকাশের উপরিভাগে মেঘ ঘন কুয়াশা এবং মৌসুমি বায়ু নিষ্ক্রিয়তা থাকার কারনে সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে আসছে না। ফলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আরো কিছুদিন এই এলাকায় একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে।”