মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মারামারির মামলায় গ্রেপ্তার যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে (৪০) থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শ্রীনগর থানায় এ ঘটনা ঘটে।
তরিকুল ইসলাম শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’’
পুলিশ ও থানা সূত্রে জানা গেছে, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার প্রধান আসামি তরিকুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এ খবরে রাত ৯টার দিকে থানায় ছুটে আসেন শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান। তিনি তারিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য শ্রীনগর থানার ওসি কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরীর ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। পরবর্তীতে শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা জেমস, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, যুবদল নেতা রবিন, অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব এমদাদুল ইসলাম রজিন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শুভ, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ইমনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী থানায় এসে আসামি তারিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘‘একটি মারামারির মামলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তরিকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ খবরে রাতে শতাধিক বিএনপির নেতা-কর্মী থানায় উপস্থিত হয়ে আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে চাপ দেয়। রাজি না হওয়ায় হট্টগোল করে তারা আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’’
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘‘পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারত। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘আমি থানাই যাইনি। আমার বিরুদ্ধে কোনো একটি পক্ষ মিথ্যা দোষারোপ করার চেষ্টা করছে।’’