‘জুলাই-এর প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা’— স্লোগানে মাদারীপুরে জুলাই গণহত্যার বিচার দাবি ও জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য রাকিব হোসেন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা মাদারীপুরের শিবচর ৭১ সড়ক থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেন। তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন। এ দিন তারা দিনব্যাপী জেলা সদর, কালকিনি, ডাসারসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেন।
বিতরণ করা লিফলেটে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রে সাতটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং আহত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করা; ঘোষণাপত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা; অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা; ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা এবং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দেওয়া।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য মো. রাকিব হোসেন বলেন, ‘‘আমরা চাই ৪৭ এবং ৭১ এর ন্যায় ২৪ এর যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, এটা সাংবিধানিক একটা দলিল আকারে থাকবে। কারণ ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ২ হাজার মানুষ শহীদ এবং ২৬ হাজার লোক আহত হয়েছে। কারণ এটা যদি সাংবিধানিক দলিল আকারে না থাকে, তাহলে আগামী ছয় মাস বা এক বছর পরে মানুষ ভুলে যাবে কেন গণঅভুথান হয়েছিল। আমরা চাই, ২৪ এর এই অভ্যুথানটা সারা জীবন বাংলাদেশের বুকে থাকুক।’’
তিনি বলেন, ‘‘৪৭ এবং ৭১ এর ন্যায় এবং মানুষ যে দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল, প্রত্যেকটা ন্যায়সঙ্গত দাবি মানুষের পূরণ হোক এবং আমরা প্রত্যেকটি মানুষের কাছে দ্বারে দ্বারে লিফলেট বিতরণ করছি, আমরা জানতে চাই, জনগণ কী চাচ্ছে।’’