সারা বাংলা

কামড় খেয়ে জীবন্ত গোখরা নিয়ে হাসপাতালে সাপুড়ে

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের একটি বনে সাপ ধরতে যান সাপুড়ে হুজু মিয়া (৪৫)। একটি গর্ত থেকে বিষধর গোখরা সাপ বেরিয়ে এলে তিনি সেটিকে ধরতে যান। এসময় সাপটি তার হাতে কামড় দেয়। সেই অবস্থায় হুজু মিয়া সাপটিকে ধরে একটি বস্তায় ভরে ফেলেন। পরে জীবন্ত সাপটিকে নিয়ে তিনি চলে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা সাপে কাটার ভ্যাকসিন দিয়ে পর্যবেক্ষণে থাকতে সাপুড়েকে পাঠিয়ে দেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, “সাপুড়েকে ভ্যাকসিন পুশ করা হয়েছে। তিনি অনেকটা শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।”

এর আগে শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কচুয়া এলাকায় সাপের কামড়ে আহত হন হুজু মিয়া।

সাপের কামড়ে আহত হুজু মিয়ার বাড়ি ঢাকার সাভারে হলেও তারা কমপক্ষে ১০-১২টি পরিবার গত এক যুগ ধরে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের রামখা এলাকায় বসবাস করছেন। তাদের পেশা সাপ ধরা ও বিভিন্ন বাজারে সাপের খেলা দেখানো।

আহত সাপুড়ের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বানেছা বেগম বলেন, “প্রতিদিনের মতো হুজু মিয়া কচুয়া এলাকার একটি বনে সাপ ধরতে যান। একটি গর্তে সাপ রয়েছে এমন আঁচ করে কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে আসে। হুজু মিয়া সাপটি ধরতে যান। বিষধর গোখরা হুজু মিয়ার হাতে কামড় দেয়। কামড় খেয়েও সাপটিতে ধরে বস্তায় ভরে ফেলেন তিনি। অসুস্থ অনুভব করলে সাপ নিয়ে সোজা তিনি চলে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে।”

জরুরি বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন বলেন, “রোগীর হাতের ক্ষতস্থান ও জ্যান্ত গোখরা সাপ দেখে হাসপাতালে থাকা সাপে কাটার ভ্যাকসিন সময় মতো পুশ করা হয়েছে। এরপর নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপাতত রোগী সুস্থ আছেন। জীবন্ত সাপ সঙ্গে নিয়ে আসায় সাপের কামড়ের ক্ষতস্থান দেখে নিশ্চিত হয়ে রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সহজ হয়েছে।”