সারা বাংলা

হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে দিনাজপুর, তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রিতে

হাড়কাঁপানো ঠান্ডা বাতাসে কাঁপছে দিনাজপুরের জনজীবন। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। হিমেল বাতাসের সঙ্গে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকে পুরো এলাকা। হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছে বিপাকে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৮৯ শতাংশ। 

সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন। 

তিনি জানান, আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৮৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিলো ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯১ শতাংশ। 

তিনি জানান, দেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলার আজকের সকাল ৬টার তাপমাত্রা: তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) ১০.৫, সৈয়দপুর ১৪.০, রংপুর ১৫.১, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) ১০.২, ডিমলা (নীলফামারী) ১২.৫, বদলগাছি (নওগাঁ) ১১.৮, বগুড়া ১৩.০, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১১.২, রাজশাহী ১১.২, যশোর ১০.২, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) ১০.৮ ও চুয়াডাঙ্গা ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরো জানান, আবারো হিমালয়ের সন্নিকটে একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে উত্তরের হিমেল বায়ু বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে আজ থেকে দুদিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতঃপর তাপমাত্রা আবারো কিছুটা কমতে পারে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছেন। 

অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। এছাড়াও শীতে জবুথবু হয়েও কাক ডাকা ভোরে অনেক শ্রমজীবী মানুষেরা ঘর থেকে বের হচ্ছে। শীতকে উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন ফসলি মাঠে কাজ করছেন শ্রমিকরা।