সারা বাংলা

ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আওয়ামীপন্থি ৮ আইনজীবী কারাগারে 

খুলনায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির আওয়ামীপন্থি ৮ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই মামলার অপর ১৫ আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ও খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা। 

কারাগারে পাঠানো আইনজীবীরা হলেন- অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস, অ্যাডভোকেট আল আমিন উকিল, অ্যাডভোকেট সোহেল পারভেজ, অ্যাডভোকেট সুমন্ত কুমার বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট তমাল কান্তি ঘোষ, অ্যাডভোকেট শেখ শামীম আহমেদ পলাশ, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান টুটুল ও অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. এমাম হোসেন বাদী হয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। খুলনা সদর থানায় মামলাটি হয়। 

উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে ২৩ জন গত ৩ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তারা আজ রবিবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। 

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে গত ৪ আগস্ট খুলনায় বিএনপি আয়োজিত মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য খুলনা বারের মেইন গেট থেকে বাদী মো. এমাম হোসেনসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী মিছিল নিয়ে বের হন। তারা জেলা স্টেডিয়ামের কাছে পৌঁছালে সমিতির তৎকালীন সভাপতি ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামসহ আইনজীবী নামধারী ও আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন দমনরত অবস্থায় তাদের মুখোমুখি হয়।

এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে এবং হকিস্টিক দিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান পপলু তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি করেন। তাদের ভয়ে অন্যান্য আইনজীবীরা পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করে।

প্রসঙ্গত, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তারিক মাহমুদ তারা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান পপলু ও অ্যাডভোকেট জেসমিন পারভীন জলি এ মামলায় পলাতক রয়েছেন।