সারা বাংলা

খুবির অর্ণব হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি সতীর্থদের

খুবির অর্ণব হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি সতীর্থদের

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এমবিএর শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকার হত্যায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের গ্রেপ্তার করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন তার সতীর্থরা। তারা বলেছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

অর্ণব সরকার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএতে ভর্তির আগে খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। ফলে অর্ণব হত্যার পর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোচ্চার হয়েছেন।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা নগরীর তেঁতুলতলা মোড়ে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন-২ অর্ণবের সতীর্থরা মানববন্ধন করে প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন।

আরো পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের পর দুর্নীতিমুক্ত ও নিরাপদ একটি দেশ চেয়েছিল সবাই। কিন্তু আজ ভালো নেই তাদের প্রাণের শহর খুলনা। সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অর্ণব হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি তোলেন তারা।

আরো পড়ুন: খুবির অর্ণবের মা, ‘বুকে ফিরে আয় আমার বাবা’

মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব রেজা, মো. আশিকুর রহমান, এসএম জাহিদ হাসান, শিহাব, মাহিম, রমিম, শান, শুভ্র উপস্থিত ছিলেন।

গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা এলাকায় অর্ণব সরকার চা পান করছিলেন। তখন ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে আসা সশস্ত্র যুবকরা অর্ণবকে প্রথমে গুলি করে। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখানে শেষ হয়নি অর্ণবকে হত্যার চেষ্টা; সন্ত্রাসীরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অর্ণবকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্ণবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

অর্ণব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা নিতীশ কুমার সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন।

সোনাডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘মামলার এজাহারে হত্যার কোনো কারণ বলা হয়নি। এ ঘটনায় আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে; না পাওয়া গেলে ছেড়ে দেওয়া হবে।’’