গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ি সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন তারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক আলী নাসের খান বলেছেন, “শুক্রবার রাতে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দিতে হবে। হামলার সময় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিলম্বে পৌঁছান।”
তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি করেন।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজবাড়ি সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে তারা বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, গত রাতে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। গাজীপুর থেকেই আজ ফ্যাসিবাদের মূল উপড়ে ফেলার কার্যক্রম শুরু হবে। আগামীকাল ১০টার মধ্যে আওয়ামী লীগের দোসরদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও হামলাকারীদের বিচার করতে হবে।”
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৫ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও আহত শিক্ষার্থীরা বলছেন, ধানমন্ডিতে ভাঙচুরের পর আমরা গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেছি যে, কোথাও ভাঙচুর হলে আমাদের জানাতে। শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে, ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। এটি শোনার পর প্রতিহত করতে আমাদের শিক্ষার্থীরা রওনা হয়। দ্রুত ১৫ জন ঘটনাস্থলে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, লুটপাট হচ্ছে। এতে বাধা দিলে পেছন থেকে হুট করে অনেক মানুষ জড় হয়ে যায়। মুখ ঢাকা কিছু লোক রাম দা হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। অন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫ জনকে ছাদে নিয়ে বেধড়ক পেটায় ও কুপিয়ে জখম করে। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও পেটায়। পুলিশকে জানানো হলে তারা দুই ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীও আসে।