ক্যাম্পাস

রাইটিং কম্পিটিশন: তরুণদের আইডিয়া প্রতিযোগিতা

করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি গ্রহণ বিষয়ে তরুণদের চিন্তা-ভাবনা ও পরামর্শসমূহ উপস্থাপনের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে সম্প্রতি আয়োজন করা হয় ‘ন্যাশনাল রাইটিং কম্পিটিশন’।

ইয়ুথ অপরচুনিটিস ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় ঢাবি, বাকৃবি, নোবিপ্রবি, ব্র্যাক, নর্থ সাউথ, রুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, বিইউপি, ড্যাফোডিল, শাবিপ্রবি এবং মাভাবিপ্রবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১২ শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিযোগিতায় ১০টি ক্যাটাগরিতে লেখা জমা দেন অংশগ্রহণকারীরা। ক্যাটাগরিগুলো হলো-সামাজিক সুরক্ষা প্রোগ্রামগুলোকে এগিয়ে নেওয়া, টেকসই কৃষিব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ও ডিজিটাল শিখন পদ্ধতিকে উৎসাহিতকরণ, তরুণদের চাকরির ব্যবস্থা ও নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা, প্রবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও রেমিটেন্সের ধারাবাহিকতা রক্ষা, রপ্তানি খাতকে পুনরুজ্জীবিতকরণ, কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা ও  ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যখাতকে শক্তিশালীকরণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্পে (এসএমই) সহায়তা।

যাচাই-বাছাই শেষে ২৫ জুলাই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রতি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন, ১ম রানার্স আপ এবং ২য় রানার্স আপসহ প্রতিযোগিতার ১০টি ক্যাটাগরিতে মোট ৩০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় এবং পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বিজয়ীদের তালিকা:

১. সামাজিক সুরক্ষা প্রোগ্রামসমূহকে এগিয়ে নেওয়া এই ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাহমুদুল হাসান নাঈম, প্রথম রানার আপ হয়েছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের মারজুকা আহমদ চৌধুরী এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আতিয়া ইসলাম।

২. টেকসই কৃষিব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তামান্না পারভেজ, প্রথম রানার আপ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তানজিনা সুলতানা এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আরাফাত হোসাইন।

৩. শিক্ষা ও ডিজিটাল শিখন পদ্ধতিকে উৎসাহিতকরণ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশিদ তাকি (সাকিব), প্রথম রানার আপ হয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইভি আক্তার এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অথৈ গাঙ্গুলি।

৪. তরুণদের চাকরির ব্যবস্থা ও নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির ইমরান হোসাইন, প্রথম রানার আপ হয়েছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির হুমায়রা আনজুম এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাকিব হোসাইন খান।

৫. প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমাদ্রী সরকার, প্রথম রানার আপ হয়েছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সায়েম রাব্বী এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাওন তালুকদার।

৬. প্রবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও রেমিটেন্সের ধারাবাহিকতা রক্ষা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের (ডিএসসিই) সানজিদা আফরিন, প্রথম রানার আপ হয়েছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফারিয়া আফরিন এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিষেক দে।

৭. রপ্তানি খাতকে পুনরুজ্জীবিতকরণ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল্লাহ আল নোমান, প্রথম রানার আপ হয়েছেন ফিচার রাইটার নাজমুল হাসান মজুমদার এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদিয়া আফরিন মমি।

৮. কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাসরাতুল ফেরদৌস, প্রথম রানার আপ হয়েছেন ঢাকা সিটি কলেজের ফারহানা আক্তার এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরাত সুলতানা নিশি।

৯. স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালীকরণ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্দকার শারার ইকবাল, প্রথম রানার আপ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লামিয়া মহসিন এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখমাহের আনসারি মাহিম।

১০. ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (এসএমই) সহায়তা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরাত জাহান হলি, প্রথম রানার আপ হয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের হুমায়রা আফিয়া মিম এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজাহান রহমান।